বিতর্কিত এমএলএম কোম্পানি ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের জামিন প্রশ্নে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
অর্থ পাচারের মামলায় বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে ডেসটিনির এমডির কারামুক্তি মিলছে না।
আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
শুনানিতে আদালতকে ডেসটিনির এমডির আইনজীবী বলেন, ‘মাই লর্ড যে গাছ বিক্রি করে টাকাটা দিতে চেয়েছিলাম, সেই গাছ আর পাইনি। আর আইনে এই অপরাধে যতটুকু সাজা সে মেয়াদের সাজা এরইমধ্যে খাটা হয়েছে।’
পরে দুদকের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগ তাকে (রফিকুল) শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শর্তই সে পূরণ করতে পারেনি। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন খারিজ করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরে রিভিউ করলে আপিল বিভাগ আজ (বৃহস্পতিবার) তা খারিজ করে দিয়েছেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ১৯ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে ডেসটিনির এমডি রফিকুল, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ কোম্পানিটির একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা দুটি করা হয়।
ওই মামলায় রফিকুল আমীনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। ওই আদেশে আদালত শর্ত দিয়ে বলেছিলেন, সরকারি কোষাগারে ৬ সপ্তাহের মধ্যে ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। ওই অর্থ জমা দেওয়ার কপি নিম্ন আদালতে দাখিল করলেই জামিন পাবেন রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেন। কিন্তু আপিল বিভাগের ওই আদেশ প্রতিপালন করেননি রফিকুল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।